এই ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক নেতারা নিয়মিত নির্বাচনী জনসভা করে গেছেন। তাতে ভিড় ও দেকারমত ছিল। মাস্ক পড়ার কেন বালাই ছিল না জনসভার ভিড়ের মধ্যে কয়েক জন ছাড়া। নির্বাচন কমিশনের ওপরে আগেই প্রশ্ন উঠে ছিল। কলকাতা হাইকোর্টে থেকে আগে বলা হয়েছিলো বিশেষ নজর দিতে জনসভার ভিড়ের দিকে।
নির্বাচন কমিশনের এমন গা ছাড়া মনোভাবের জন্য এবার কার্যত তুলোধোনা করলো মাদ্রাস হাইকোট। কোরোনা তে এত মৃত্যু জন্য কার্যেট নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করলো। এমনকি এও বলেন নির্বাচনী Covide বিধিনিষেধ সঠিক পরিকল্পনা না দেখাতে পারলে ২ মে ভোট গণনা আটকে দেবার চরম হুঁশিয়ারি দেয়।
এই রাজ্য সমেত তামিলনাড়ু তে ভোট গণনা। কিন্তু ভোট চলাকালীন অনেক বৃশঙ্খলা ছবি দেখা যাই Covide বিধি না মানার। এই ছবি যাতে ভোট গণনাতে না দেখাযায় এই আর্জি জানিয়ে আদালেত জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। সোমবার মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি সেন্থিলকুমার রামমূর্তির ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি শুরু হলে, নির্বাচন কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন দু’জনেই। জানিয়ে দেন, এই কোরোনা অতিমারি আবহে রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীরা বিধিনিষেধের উলঙ্ঘন করেছে , কমিশনও কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।
মাদ্রাসা হাইকোর্টে থেকে প্রধান বিচারপতি জানাই “আজকের এই পরিস্থিতির জন্য আপনারাই দায়ী। আদালতের নির্দেশ অমান্য করে রাজনীতিকরা জনসভা করেছেন। পদযাত্রায় বেরিয়েছেন। তা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেননি। আপনাদের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের হওয়া উচিত। বর্তমান পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্যকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত। অথচ দুঃখের বিষয়, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকেই, এই গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দিতে হচ্ছে। বেঁচে থাকলে তবেই তো গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগ করতে পারবেন মানুষ!”
আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, পরবর্তী শুনানি হবে ৩০ এপ্রিল। ওই দিনই পরিস্থিতির পর্যলোচনা করে স্পষ্ট হবে।